আত্মহত্যা বাংলা ভুতের গল্প

আত্মহত্যা 

ঘটনা টা হয়েছে 2018 সালের মেবি জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে হবে।

 আমি একদিন রাত দশটায় আমার বাসা হসপিটাল এর পাশেই হসপিটালে আসলাম একটা রোগী আসলো ইমারজেন্সি পিল নিয়ে গেল। রোগীটার নরমালি ডেট। ডক্টর বললো নিয়ে যেতে।  এখন আপনাদের বলে রাখি রুগিটি ছিল গলায় দড়ি দেওয়া। 16 -17 বছর হবে মেয়েটার। এমনকি ওদের সাথে লোক খুবই কম ছিল।

 ফ্যামিলির গার্জিয়ান তারা এসে এম্বুলেন্স এর জন্য অপেক্ষা করছিলো।  তাদের কপাল খারাপ যে ওই সময় এম্বুলেন্স পাচ্ছিলো না। ওরা লাশটিকে নিয়ে যাবে  শ্রীনগর থেকে ডানে দোহারের দিকে ঢুকতে হবে। জায়গার নামটা ঠিক আমার মনে নাই। এখন থেকে অনেক আগের কথা। তখন আমার অফিস থেকে আমাদের ম্যানেজার উনি আমাকে জানান আমি গাড়ি চালাতে পারি। আমাদের ড্রাইভারটা ছুটিতে।এরা  অনেক ভালো মানুষ কোন কিছু বললে আমি না করতে পারি না। আমি গাড়ি চালাতে পারিনা। আলামিন তুমি তো পারো একটু যদি ওনাকে  নামায় দিতে।

আমি চিন্তা করলাম যে ম্যানেজারের লোকজন যাই দিয়ে আসি। আপনি লাশটা দেখলে খুব ভয় পাবেন  এমন অবস্থা। মানে  তার জিব্বা বের হয়ে গেছে প্রায় চার ইঞ্চির মতো জিব বের হওয়া। মানে আমি দেখে আমি  আপনাকে কি বলব আমি নিজেই ভয় পাচ্ছি। সেই রকম একটা করুন অবস্থা।  আমি আপনাকে বুঝাতে পারব না যে এত ভয়ানক অবস্থা লাগতাছে। এত ভয়ানক অবস্থা লাগছে। তারপরে তাদের সাথে নিলাম। এবং  আমি চিন্তা করলাম যে লাশটা নামায় দিয়ে আমার  একা আসা লাগবে।তাই সিকিউরিটি গার্ডকে নিয়ে গেলাম। 

যাচ্ছি নরমালি আমি পোস্তগোলা ব্রিজ পার হলাম কোন সমস্যা হচ্ছে না। পোস্তগোলা ব্রিজ পার হয়ে। আপনার যখন আব্দুল্লাহপুর পার হয়ে গেলাম তখন আমি দেখতে পাই আমি গাড়ি চালাচ্ছি ঝোড়ে অনেক ঝোরে চালাচ্ছি। কিন্তু আমার গাড়ি স্পিড বাড়তেছে না। আমি এত এক্সিলেটর চাপ্তেসি কিন্তু 40 30 এর উপরে উঠছে না। কি ব্যাপার? তখন আমার সিকিউরিটি বললো স্যার আপনি এত আস্তে চালাচ্ছেন কেন। দোহার যেতে নগর পঞ্চগ্রাম শ্রীনগর থেকে ডানে ঢুকতে হয়। শ্রীনগর থেকে ডানে ঢুকে কিছুদূর যাওয়ার পর  আমার গাড়ি নরমালি স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেল। স্টার্ট নেয় না তো নেই না। আমি নেমে চেক করে দেখি যে। আমার ইন্জিন  জ্বলে গেল মানে আমার ইঞ্জিন হিট দেখায়। আমি গাড়ির সামনের ডাকনা ওপেন  করার পরে দেখি ।  ইঞ্জিন অনেক হিট আর কোনো কারণই নাই। 

আমি আবার অনেক সময় চেষ্টা করার পর গাড়ি স্টার্ট হইল স্টার্ট হওয়ার পরে। আবার কিছুদুর যাওয়ার পরে। ওখান থেকে আপনার   দুই পাশে রাস্তা ফাঁকা। আমি গাড়ি চালাই যাচ্ছি। কিন্তু আমার  মনে হচ্ছে  যে গাড়িটাতে অনেক অনেক লোক দাঁড়িয়ে এরকম মনে হচ্ছে।  এত ভারী গাড়িটা এটা আমি  মানতে পারতেছিনা।  পড়ে কিছুদূর যাওয়ার পরে  রাস্তা আপনার তেমন কুয়াশাও নাই সব ঠিক আছে।  কিন্তু আমি কিছু  দেখতে পারতাছিনা এমন মনে হচ্ছে। হঠাৎ করে দেখি সামনে সাদা অনেকটা পদ্মার মতন পড়ে যাচ্ছে রাস্তা খুঁজে পাচ্ছিনা। তারপরে আমার সাথে যে ছিলেন মহিলা বললেন দাদা আমাদের  হিন্দু ধর্মে আছে  আগুন থাকলে  কোনো কিছু আসে না। আপনি যদি মানে কিছু না নেন। যদদি সিগারেট খান তাহলে কিছু মনে করেন না সিগারেট ধরান।  আমি  স্মোক করিনা। আমরা লাশের সামনে তো আমাদের এ সবকিছু করা ঠিক না, আপনি ধরেন। তারপর আমার পাশে যে ছেলেটা ছিল সে সিগারেট ধরালো। সাধারণভাবে আমরা যাচ্ছিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পরে আমার গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে গেল।

 ইতিমধ্যে লাশটা নিচে পড়ে গেছে মনটা ভয়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ ধরার মানুষটা কিভাবে পড়ে গেল। বুঝতে পারলাম না।লাশটা উঠাইলাম।  চাকা পাংচার চেঞ্জ করলাম।  চেঞ্জ করার পরে গাড়ি আমরা আবার স্টার্ট করলাম হঠাৎ করে দেখি। মানে কি বলব আপনাকে। রাস্তার ভিতর এত পরিমাণে কুকুর।  হঠাৎ করে কোথা থেকে আসলো এত পরিমান কুকুর।  একজনকে বললাম যে আপনাদের এখানে  কুকুর অনেক বেশি হয় না। তাতে এতোটুকু তো হওয়ার কথা না। আমরা হর্ণ  দিচ্ছি কিন্তু রাস্তা ছাড়ে না।পড়ে একপর্যায়ে আমার আবার  একটুও রাগ বেশি। তাই কুকুরের  উপর দিয়ে চালাতে শুরু করি। কিন্তু আমি ওদের উপরে চালাচ্ছি। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে না যে নিচে কুকুর বা কোন কিছু আটকাচ্ছে চাকায়।  এরকম করে করে  বেশ কিছুদূর আগাই।  পরে  কি আবার সমস্যা গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল। মানে কিভাবে বন্ধ হলো আবারও দেখলাম।  নামলাম কোন সমস্যা নাই গাড়ির কোন রকমের কোন সমস্যা নেই। আবার আমরা কিছু সময়  ওয়েট করে তারপরে আমরা  গাড়ি চালালাম। গাড়ি চালানোর পরে  নিচে গাড়ির পাশের এর রাস্তায় এখানে ডেড বডিটা পরে আছে।এখানে আসলো কিভাবে তখন তো আমাদের আরো ভয় পেয়ে যাই।যে ছেলেটা বললো   আমরা যাব না এখান থেকে কোন ব্যবস্থা করি। কি ব্যাপার এখানে আসলো  কিভাবে। ধরাধরি করে আমরা লাশটা  উপরে উঠালাম উঠানোর পরে আমি কিছুদূর গেলাম কিছুদূর যাওয়ার পর। ওই এক কাহিনী আবার গাড়ি বন্ধ হয়ে গেল এখন যে গাড়ি বন্ধ হইল আর স্টার্ট নেই তো না নেই না। কিন্তু তখন আমরা উনাদের বাড়ির কিছু কাছাকাছি চলে আসছি। তখন তারা বাড়িতে ফোন দিলে বাড়ি থেকে  লোক নিয়ে আসলে আমরা লাশটাকে বাগিতে উঠায়ে দিলাম। তারা আমাদেরও আসতে দিবে না। বলল যে রাস্তায় সমস্যা হয়েছে আপনারা জানেন না। কিন্তু আমাদের যেতে হবে। 

আমরা দুজনে আবার রওনা দিলাম।

এবার স্টার্ট দেওয়ার  সাথে সাথে গাড়ি স্টার্ট হয়ে গেছে। আমি বিষয়টা বুঝলাম না।এবং আসার পথে একটা জায়গাতেও গাড়িতে একটু বিন্দুমাত্র পরিমাণ সমস্যা দেখা দেয় নাই। একদম কোন রকমের কোন সমস্যা ছাড়াই  নরমালি আমার বাড়িতে  এসে গেলাম। একদম মানে আমি আজব হয়ে গেলাম যে যাওয়ার সময় কি হলো আর আসার  সময় কি হলো এই ভেবে। _ সমাপ্তি _

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url