পৃথিবীর রহস্যময় তিনটি স্থান। Three mysterious places in the world.
পৃথিবীর রহস্যময় তিনটি স্থান। Three mysterious places in the world.
আসসালামু আলাইকুম আমি নাজমুল আছি আপনাদের সাথে বাংলাই লিরিক্স ওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে। আমরা সবাই জানি পৃথিবীতে আল্লাহ প্রদত্ত অনেক রহস্যময় জায়গা রয়েছে। যার রহস্য উন্মোচন করা হয়তো মানুষের পক্ষে সম্ভব হবে না।
আজকে আমরা আলোচনা করবো পৃথিবীর এমনই রহস্যময় তিনটি স্থান সম্পর্কে। যেগুলোর রহস্য আজ পর্যন্ত কেউ উন্মোচন করতে পারেনি। আর কখনো পারবে বলেও আশা করা যায় না।
১. মীর মাইন হীরার খনি,সাইবেরিয়া।
মীর মাইন সাইবেরিয়াতে অবস্থিত একটি হীরার খনি। যা এক সময় পৃথিবীর সব থেকে বড় হীরার খনি ছিল। গবেষকদের মতে প্রতি বছর এখান থেকে প্রায় এক কোটি ক্যারেট হীরা উত্তলন করা হতো। কিন্তু হীরার শেষ হওয়ার সাথে সাথেই এখানে অদ্ভুত রকমের বড় একটি গর্ত তৈরি হয়ে যায়।
বিজ্ঞানিদের মতে এই গর্তের গভীরতা প্রায় ১৭২২ ফিট এবং চওড়া প্রায় ৩৯০০ ফুট।
বর্তমানে এই জায়গাটির উপর দিয়ে নো ফ্লাইং জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ এই মাইনের নিচে অনেকটা গভীর হওয়ার ফলে গর্তের অভ্যন্তরে উষ্ণ বায়ু হাল্কা গরম হয়ে উপরে উঠে আসে। এবং বাহিরের বায়ু ভিতরে প্রবেশ করে। আর এই বাতাসের উঠা নামার কারণে গর্তের উপর ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।যার ফলে এর উপর দিয়ে কোনো হেলিকপ্টার যখন যাতায়াত করে তখন গর্তে বাতাসের উঠা নামায় হেলিকপ্টার নিচের দিকে নেমে যায়।
২. ডোর টু হেল, তুর্কমেনিস্তান, কারাকুম মরুভুমি।
তুর্কমেনিস্তান এর কারাকুম মরুভূমির দোয়াজ নামক গ্রামে অবস্থিত একটি গর্ত কে বলা হয় ডোর টু হেল। যার অর্থ নরকের দরজা।
ইতিহাসবিদগণের মতে এখান প্রায় গত ৪৭ বছর ধরে আগুন জ্বলছে ১৯৭১ সালে একদল সোভিয়েত বিজ্ঞানী প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ করতে এখানে আসেন। এবং তারা দেয়াজ নামক গ্রামে খনন কাজ শুরু করেন।
কিছু সময় খনন করার পর হঠাৎ এর উপরের অংশ ভেঙে প্রায় ২০০ফুট চওড়া ও ৬৬ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়। এবং এই গর্তের ভিতর থেকে প্রচুর পরিমাণে মিথেন বিষাক্ত গ্যাস বের হতে থাকে। যা প্রকৃতি ও মানুষের জন্য ক্ষিতকর।তাই বিজ্ঞানীরা এই গ্যাসের আউটপুট বন্ধ করার জন্য গর্তে আগুন লাগিয়ে দেয়।
বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন যে সপ্তাহ খানেক বাদে আগুন নিজে নিজেই নিবে যাবে। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়।তাদের লাগানো আগুন সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নিবে যাওয়ার বদলে ৪৭ বছরেও নিবতে চাইছে না।
তবে বর্তমানে এটি একটি আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর হাজারো পর্যটক আসেন এই গর্ত দেখার জন্য।
৩. ইস্টার দ্বীপ, চিলি।
প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব দিকে অবস্থিত এই দ্বীপটি অবিকল মানুষের মতো মূর্তির জন্য বিখ্যাত। এই দ্বীপে প্রায় ১০০০ মতো মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলোর উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট থেকে ৩৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা। তবে আরেকটি অবাক করা বিষয় হলো প্রতিটি মূর্তির শরীরের বেশির ভাগ অংশ মাটির নিচে।শুধু মাত্র মাথা ও বুকের কিছু অংশ মাটির উপরে রয়েছে। এবং এই সমস্ত মূর্তিগুলোই পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছিলো।
এই দ্বীপটির মূল আকর্ষণ হলো সাতটি বৃহৎ আকার মুর্তি। এই সাতটি মূর্তি কে নেভাল অব দ্য ওয়ার্ল্ড বলা হয়ে থাকে।
এই দ্বীপটি কে ১৯৯৫ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত করে।তবে আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞানী বা ইতিহাসবিদ এই নির্জন দ্বীপে কারা এই মূর্তি তৈরি করেছেন। তার কোনো হদিস দিতে পারেননি।