ঢাকার ভ্রমণ স্থান। Some travel places in Dhaka

ঢাকার ভ্রমণ স্থান। Some travel places in Dhaka.


আমাদের এই বৃহত্তর ঢাকায় বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্র এবং ঐতিহাসিক স্হান রয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে আমরা অনেকেই ভালোভাবে জানি না।  আজকে আমরা এই ধরণের কিছু বিনোদন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্হান সম্পর্কে আলোচনা করবো।

১. বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক 

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ঢাকার অন্যতম একটি জনপ্রিয় পার্ক।এটি অবস্থিত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাঘের বাজার থেকে পশ্চিম দিকে ৫ কিলোমিটার    ভিতরের। 

এই পার্কটি ভিতরের অংশ কে আবার ৫টি ভগ করা হয়েছে। যথা - কোর সাফারি, সাফারি কিংডম, বায়োডাইভারসিটি পার্ক, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার ও এক্সটেনসিভ ডাইভার্সিটি পার্ক। এর প্রবেশ মুল্য মাত্র ৫০ টাকা।

এই পার্কটিতে চিড়িয়াখানার মতো পশু পাখি থাকে কিন্তু এগুলো খাচায় বন্দি না থেকে খোলামেলা জঙ্গলে ঘুরে বেড়ায়।আর যারা এখানে ঘুরতে যায় তাদেরকে সতর্ক থেকে গাড়ি দিয়ে পার্ক ঘুরানো হয়। এখনে আপনি জঙ্গলে চলার অনুভুতি বুঝতে পারবেন।

২. জিন্দা পার্ক, নারায়নগঞ্জ 

কম সময়ে ও কম খরচে ভালো ভ্রমণ স্থান হিসেবে জিন্দা পার্ক অন্যতম।এই পার্কটি পূর্বাচল হাইওয়ের কাছে, নারায়ণগঞ্জ, রুপগঞ্জে অবস্থিত। 

সবুজে ঘেরা এই পার্কটি ভিতরে রয়েছে ২৫০ প্রজাতির প্রায় ১০হাজার গাছ এবং  ৫টি জলধারা। পিকনিক কিংবা কাছাকাছি প্রকৃতির স্বাদ উপভোগ করার জন্য এটি অন্যতম স্হান।

এখনে আপনি চাইলে থাকতেও পারবেন। এখানে রয়েছে মনোরম পরিবেশে সাজানো হোটেল। আরো পাবেন ২০০ থেকে ২৫০ টাকার ভিতর ভালো খাবার। 

৩. সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর

১৯৭৫ সালে ১২ মার্চ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার বিশাল এলাকা নিয়ে এই লোকশিল্প জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন।

জাদুঘরটি ঢাকা থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলায় পানাম নগরে অবস্থিত। সোনারগাঁওয়ের সুপরিচিত " বড় সর্দার বাড়ি" নামক জমিদার বাড়িতে এই জাদুঘরটি স্হাপন করা হয়েছে। 


জাদুঘরটিতে আপনি দেখতে পারবেন বাংলার বড় বড় সুলতান ও জমিদারদের ব্যাবহারিত অস্ত্র শস্ত্র, পোশাক, অলংকার, বর্ম,ইত্যাদি। পাশাপাশি রয়েছে বাংলার প্রাচীন ও মধ্য যুগের লোকশিল্পের নিদর্শন সমূহ। যেমন  প্রাচীন মুদ্রা, কারু পল্লীতে দোচালা, চৌচালা, ও উপজাতীয় দের তৈরী বাশ,বেত,কাঠ,খোদাই মাটি,জামদানী, নকশিকাঁথা, একতারা,ঝিনুক ইত্যাদি। 


সময় সূচি অনুযায়ী যাদুঘরটি শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ৫দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। 
এর প্রবেশ মূল্য মাত্র একশত টাকা।

৪. বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

উনবিংশ শতকে নির্মিত এই জমিদার বাড়িটি  প্রায় ১৬ হাজার ৫৫৪ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। জমিদার বাড়ির প্রবেশ গেইটে রয়েছে দুটি সিংহমূর্তি।

বালিয়াটি জমিদার বাড়িটি মানিকগঞ্জ থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামে অবস্থিত।

এখানে আপনি দেখতে পাবেন সুন্দর প্রশস্ত ফুলের বাগান,জমিদারদের ব্যাবহারিহ আসবাবপত্র, প্রাচীন জিমদারদের পোশাক,চারটি পুকুর,  ইত্যাদি। 
 
সূচি অনুযায়ী পরিদর্শনের সময় হচ্ছে 
সকাল ১০টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার নামাজের জন্য দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট  থেকে ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিরতি থাকে এবং প্রতি সোমবার অর্ধ দিবস সহ সকল সরকারি  ছুটিরদিন জমিদার বাড়ি বন্ধ থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url