বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং ভয়ানক ৬টি স্থান।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর এবং ভয়ানক ৬টি স্থান।
বাংলাদেশ যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর তেমনি অনেক ভয়ংকর ঘটনায়ও পূর্ণ। আজ আমরা জানবো সেই সব সুন্দর ও ভয়ংকর জায়গা সম্পর্কে।
১.সুন্দরবন
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও ভয়ানক বা ভুতুড়ে স্থান সমুহের মধ্যে প্রথম স্থান আমাদের সুন্দরবন। সুন্দরবন বাংলাদেশ ভারত বিস্তৃত। এটি দেশি বিদেশি মানুষের জন্য প্রাকৃতিক মনোভাব মন্ডিত নয়নাভিরাম জায়গা।বিশ্বে মানগ্রোভ বন হিসাবে সুন্দরবন আরও পরিচিত।
সুন্দরবন দেখতে যতটা সুন্দর, ঠিক ততটাই ভয়ংকর। এখানে পশুপাখির ভয় তো আছেই পাশাপাশি ভুতুড়ে ঘটনাও অভাব নেই।
আশপাশের গ্রামের লোকদের মতে এখানে অনেক আগে দুজন ব্রিটিশ ক্যামেরা ম্যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভগ করতে এবং ছবি কালেক্ট করতে আসে। তাদের মধ্যে একজন বলেন যে যখন আমার বন্ধু আমার ছবি তোলে তখন সে ক্যামেরায় কোনো ছায়া দেখতে পায়।আর সাথে সাথে সে জ্ঞান হারায়। যখন তাকে হসপিটালে নেয়া হয় তার কিছুক্ষণ পরেই সে মারা যায়।
গ্রামের অনেকেই বলেছেন তারা কোনো এক সাদা ছায়া জঙ্গলে ঘুরাফেরা করতে দেখেছেন। আর এর পর থেকেই গ্রামের কেউই সন্ধ্যার পর জঙ্গলে অবস্থান করেন না।
২.পার্কি বিচ
বিচটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার লম্বা, ৩০০-৩৫০ ফিট চওরা প্রায় এবং ২০ কিলোমিটার ঝাওবন ছড়ানো,অত্যন্ত সৌন্দর্য মন্ডিত এবং প্রকৃতির এক অনন্য নিদর্শন এই পার্কি বিচ।
এখানে প্রচুর পরিমাণে দেশি বিদেশি পর্যটক আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আর এতো সুন্দর বিচটি কে ভয়ংকর জায়গার তালিকায় রাখার কারন হচ্ছে। এই বিচটি নিয়েও মানুষের অনেক ভৌতিক মতভদ রয়েছে।
এলাকার মানুষ সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি উপলব্ধি করেছে তা হলো,এখানে সন্ধ্যার পর অদ্ভুত ধরনের কোলাহল, চিৎকার, ও নানা ধরনের ডাক শুনতে পাওয়া যায়। অনেক পর্যটক এ সকল বিষয়ে কৌতুহল বসত খোজ করার চেষ্টা করলও, তারা এর কোনো সমাধান পায়নি।বরং তারা ভয়ানক ক্ষতির মূখে পরেছেন।এবং বিভ্রান্ত হয়েছেন।
আবার গ্রামের কিছু মাঝি বলেছেন যে এদিকে প্রায়শই নৌকা সমেত নাবিকের দেখা ।কখনো নৌকায় একজন থাকেন, আবার কখোনো অনেকজন এক সাথে গভীর সমুদ্রের দিকে যেতে দেখা যায়।
৩.চলনবিল
চলনবিল বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বিল। এখানে প্রতি বছর দেশি বিদেশি পর্যটক আসেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত বিলটি নিয়ে লোকেদের অনেক মতভেদ রয়েছে।
নাটোর, পাবনা ও সিরাজগন্জ এি তিনটি জেলা নিয়ে বিলটি অবস্থিত। তবে ভুতুড়ে জায়গা বলতে সিরাজগঞ্জ ও তার আশপাশের অঞ্চল কে বুঝায়।
তবে সিরাজগঞ্জের তারাস নামক উপজেলায় চলন বিলের যে অংশটি রয়েছে, শুনা যায় সেখানে একজন জমিদার ছিলো। যিনি একদিন রাতে কোনো এক অজানা কারণে মারা যান।তার পর সেই জমিদার বাড়ির জায়গায় রাতারাতি তিনটি মন্দির তৈরি হয়।কিন্তু তার পরদিনি আবার মন্দির গুলো নিজে নিজে ভেঙ্গে যায়।
অনেকে বলেন যে এখানে মাঝে মাঝে সন্ধ্যার পরে কালো ছায়া দেখা যায়। তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক সমাধান পাওয়া যায়নি।
৪.ফয়েস লেক
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর লেক সমূহের মধ্যে ফরেস্ট লেক একটি। এটি দেখতে এতোটাই সুন্দর যে প্রতি বছর এখানে দেশ বিদেশের পর্যটক আসেন।
তবে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত নয়নাভিরাম লেকটি যত সুন্দর ঠিক ততটাই ভয়ংকর কথা শুনা যায় এই লেকটি সম্পর্কে।
আশপাশের গ্রামের মানুষদের মতে এই লেকের পাশের জঙ্গলে সাদা শাড়ি ও কালো শাড়ি পড়া দূটি ভুত বা জিন রয়েছে। বলা হয় যে সাদা শাড়ি পড়া মহিলাটি জঙ্গলে বিপদে পরা মানুষদের সাহায্য করে।আর কালো শাড়ি পরা নারীটি মানুষদের বিপদে ফেলে।
অনেক পর্যটক বলেছেন যে তারাও নাকি ওই সাদা শাড়ি আর কালো শাড়ি পরা নারী মূর্তি গুলো কে দেখেছেন।
৫.লাল বাগ কেল্লা সুরঙ্গ
লালবাগ কেল্লা বাংলাদেশের সবচেয়ে পূরনো কেল্লা সমূহের মধ্যে একটা। এখানে পরি বিবির মাজার ও সম্রাটদের জিনিসপত্র ও তাদের বিরত্তের স্মৃতি রয়েছে।
এ সকল কিছুর সাথে সেখানে একটি সুরঙ্গ রয়েছে। বলা হয় যে ওই সুরঙ্গে কেউ একবার গেলে আর ফিরে আসে না। বিজ্ঞানিরা অনেক গবেষণা করেও এর কোনো সমাধান খুঁজে পায়নি।
এই অদ্ভুত আর রহস্যময় সুরঙ্গ দেখতে দেশ বিদেশের হাজারো পর্যটক ঘুরতে আসেন।
৬.বগা লেক বা রদ
বগা লেক বান্দরবান জেলার শহর থেকে সত্তর কিলোমিটার দূরে রূমা উপজেলায় কিউ ক্রান পাহাড়ের পাশে অবস্থিত। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উপরে অবস্থিত স্বাদু পানির রদ।
বগালেক কে ঘিরে বসবাস কারি পাহাড়ি লোকরা বলেন। এখানে অনেক বছর আগে একটি ড্রাগন বাস করতো। ড্রাগন গ্রামের ছোট বাচ্চাদের ধরে খেয়ে ফেলতো। গ্রাম বাসিদের রক্ষা করার জন্য ওই ড্রাগনটিকে হত্যা করা হলে,মৃত্যুর সময় ড্রাগনের মুখ থেকে আগুন বের হয়ে পাহাড় বিস্ফোরণ ঘটে। যার দরান এই লেক তৈরি হয়।
বগ ভাষায় বগা অর্থ ড্রাগন। রুমা উপজেলায় বগা লেকের পাশে লাগানো সাইনবোর্ডে এমনটাই লিখে রাখা হয়েছে। আর এই অদ্ভুত ও রহস্যময় লেকটি দেখতে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ভিড় করেন।